তুমি আসছো আর দুদিন বাকী। জুলাইয়ের ২৯ তারিখ দিয়ে প্রায় তিন মাস হবে। কতদিন তুমি নেই! কী আশ্চর্য, তুমি এতটা দিন আমাকে ছাড়া থাকতে পারলে?
জানি আমাকে অনেক মিস করেছো। যেমন করেছি তোমাকে। দেয়ালে পুরনো একটা ছবি আছে, লেমিংটন ফেরী ঘাটের। অহনা তোমার কোলে বসে, আমি ছবি তুলছি। মনে হয় কোনো কারণে ওর মন খারাপ। মুখ গোমরা করে বসে আছে। ছবিতে তার পুরোটাই ধরা পরেছে।
এখন এখানে সন্ধ্যা হচ্ছে। তোমাদের ওখানে ভোর। আর কয়েক ঘন্টা পরেই তোমার ফ্লাইট। ওখানে সবাইকে কাঁদিয়ে তুমি আসবে এখানে, আমাকে হাসাতে। তোমার অপেক্ষায় সময় আর কাটছেনা। ঘরদোর পরিস্কার করে সব গোছগাছ করে তোমার জন্য বসে আছি। বাবুর জন্য সাইকেলটা সুন্দর করে সাজিয়ে রেখেছি।
এই মুহূর্তে আর কিছু ভাবতে পারছিনা। বাইরের ঘরে বসে ভাবছি এইতো সেদিন তুমি গেলে। কতদিন হয়ে গেল, অথচ মনে হচ্ছে সেদিন তোমাকে গিয়ে উঠিয়ে দিয়ে এলাম।
দিনগুলো কেটে গেল বিচ্ছিন্নভাবে, একা। জানিনা কিভাবে গেল। শেষের মাসটা খুব দ্রুত গেল। এ মাসেই সবচেয়ে বেশী বাইরে খেয়েছি।
তোমার অপেক্ষায় বসে যখন ব্লগ লিখছি তখন ভাবছি তুমি কী করছো। প্রতিদিন কথা হলেও জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন যে ৯০দিন হারিয়ে গেলো তা কি আর কখনো ফিরে পাবো? তিনমাস সময়টাকে এত কম ভেবেছিলাম কিভাবে সেটাই এখন ভাবতে অবাক লাগছে।
একা একা দেশে যাওয়া আর একবারো নয়। গেলে একসাথে, নাহলে নয়।
I hope she's back by now! :)
ReplyDeleteYa, both are back to pavilion :)
ReplyDelete