জীবনের অনেকগুলো বছর পেরিয়ে এসেও হঠাৎ ফিরে তাকালে দেখতে পাই স্মৃতির পাতায় অনেককিছুই স্পস্ট রয়ে গিয়েছে। মনে হয় এই তো সেদিন। অথচ চল্লিশটি বছর গড়িয়ে গেছে। মায়ের অল্প বয়সের চেহারা স্পষ্ট মনে আছে। কিন্তু কেন যেন বাবার অল্প বয়সের চেহারা আমার মনে পড়ে না। আল্লাহর অশেষ রহমত--বাবা এখনো আমাদের মাঝে আছেন। মা-ও আছেন। ইচ্ছে হলেই কথা বলা যায়। কিন্তু এক সময় আমরা কেউই থাকবো না। সেটা ভেবে অদ্ভুত এক অনুভূতি হয়। মনে হয়ে যেন অন্য কোথাও চলে গিয়েছি আর সেখানে বসে ভাবছি। যেন ভিন্ন এক সময়, ভিন্ন এক পৃথিবী সেটি।
বাবার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের অনেকগুলো সাদাকালো ছবি আমাদের কাছে ছিল। এমনকি বাবার মেট্রিক পরীক্ষার প্রবেশপত্রও আমাদের কাছে ছিল। সেখানে বাবার ছবিও ছিলো। পুরনো কাগজপত্রের মাঝ থেকে সেগুলো আমরা উদ্ধার করে বহুদিন আগলে রেখেছিলাম। বড় বোনের বিয়ের পর সে ছবিগুলো আমেরিকায় নিয়ে যায় এবং তখন থেকে তার কাছেই রেখেছিল। হিউস্টনে একদিন তাদের বাসা আগুনে পুড়ে যায় আর তার সাথে পুড়ে যায় সেই অমূল্য ছবিগুলো। ছবিগুলোর কথা লিখতে গিয়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল।
এখানে বাবা লিখছি কিন্তু বাবাকে আমরা আব্বা বলি। কিন্তু লিখতে গেলে কেন যেন বাবা শব্দটা চলে আসছে। বাবার একটা ছবি ছিলো সেটি পাশ ফিরে তোলা, কালো কোট পড়া। স্টুডিওতে গিয়ে তোলা হয়েছিল সেটি। আরো অনেকগুলো প্রায় তিন ইঞ্চি বাই তিন ইঞ্চি সাইজের সাদাকালো ছবি আমরা পেয়েছিলাম। সেগুলো সম্ভবত ষাট বা সত্তর সনে তোলা ছিল। পিকনিকে গিয়ে ছবিগুলো তোলা ছিল। ছবিতে বাবাকে তেমনটা বোঝা যাচ্ছিল না কিন্তু ছবির বর্ডারের পাশ দিয়ে কালির কলম দিয়ে তারিখ লেখা ছিল। সেই তারিখগুলো স্পষ্টই পড়া যেত।
মনটা ভালো নেই। তাই বোধহয় বাবার কথা মনে পড়ল। কী করতে যে বিদেশে পড়ে আছি! মাঝে মাঝে মনে হয় সবকিছু ফেলে দিয়ে চলে যাই। কে জানে একদিন হয়তো চলেই যাবো।
ছবিতে ঢাকায় আব্বার সাথে সকালের চা খাওয়া। ডিসেম্বর ৩০, ২০১৪ সকাল ৭:৫০ ডিসেম্বরের শীতে আমার তেমন সমস্যা হচ্ছিল না।
বাবার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের অনেকগুলো সাদাকালো ছবি আমাদের কাছে ছিল। এমনকি বাবার মেট্রিক পরীক্ষার প্রবেশপত্রও আমাদের কাছে ছিল। সেখানে বাবার ছবিও ছিলো। পুরনো কাগজপত্রের মাঝ থেকে সেগুলো আমরা উদ্ধার করে বহুদিন আগলে রেখেছিলাম। বড় বোনের বিয়ের পর সে ছবিগুলো আমেরিকায় নিয়ে যায় এবং তখন থেকে তার কাছেই রেখেছিল। হিউস্টনে একদিন তাদের বাসা আগুনে পুড়ে যায় আর তার সাথে পুড়ে যায় সেই অমূল্য ছবিগুলো। ছবিগুলোর কথা লিখতে গিয়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল।
এখানে বাবা লিখছি কিন্তু বাবাকে আমরা আব্বা বলি। কিন্তু লিখতে গেলে কেন যেন বাবা শব্দটা চলে আসছে। বাবার একটা ছবি ছিলো সেটি পাশ ফিরে তোলা, কালো কোট পড়া। স্টুডিওতে গিয়ে তোলা হয়েছিল সেটি। আরো অনেকগুলো প্রায় তিন ইঞ্চি বাই তিন ইঞ্চি সাইজের সাদাকালো ছবি আমরা পেয়েছিলাম। সেগুলো সম্ভবত ষাট বা সত্তর সনে তোলা ছিল। পিকনিকে গিয়ে ছবিগুলো তোলা ছিল। ছবিতে বাবাকে তেমনটা বোঝা যাচ্ছিল না কিন্তু ছবির বর্ডারের পাশ দিয়ে কালির কলম দিয়ে তারিখ লেখা ছিল। সেই তারিখগুলো স্পষ্টই পড়া যেত।
মনটা ভালো নেই। তাই বোধহয় বাবার কথা মনে পড়ল। কী করতে যে বিদেশে পড়ে আছি! মাঝে মাঝে মনে হয় সবকিছু ফেলে দিয়ে চলে যাই। কে জানে একদিন হয়তো চলেই যাবো।
ছবিতে ঢাকায় আব্বার সাথে সকালের চা খাওয়া। ডিসেম্বর ৩০, ২০১৪ সকাল ৭:৫০ ডিসেম্বরের শীতে আমার তেমন সমস্যা হচ্ছিল না।
ঢাকায় আব্বার সাথে সকালের চা খাওয়া। ডিসেম্বর ৩০, ২০১৪ সকাল ৭:৫০ |
No comments:
Post a Comment