2009/07/24

Paan: our traditional after-meal snack

Paan-Shupari
Photo taken after the dinner at Tanvir bhai's home on July 23, 2009.

Paan, from the word pan in Urdu, پان, and Hindi, पान, is a South, East and South East Asian tradition which consists of chewing Betel leaf (Piper betle) combined with the areca nut. There are many regional variations.

Paan is chewed as a palate cleanser and a breath freshener. It is also commonly offered to guests and visitors as a sign of hospitality and as an "ice breaker" to start conversation. It also has a symbolic value at ceremonies and cultural events in south and southeast Asia. Paan makers may use mukhwas or tobacco as an ingredient in their paan fillings. Although most types of paan contain areca nuts as a filling, some do not. Other types include what is called sweet paan, where sugar, candied fruit and fennel seeds are used. (From Wikipedia)

Following text is written in Unicode Bangla.

প্রবাসে দৈবের বশে "পান"

না, কোন সুরা পানের কথা বলছিনা। বলছি পান-সুপারীর কথা। আজ অনেকদিন পরে সাজানো পান দেখে খাওয়ার শখ হয়েছিল।

এই লেখা পড়ছেন অথচ পান খাননি এমন কেউ আছেন কি? মনে হয় না। জীবনের এই জিনিস কেউ একবারো খায়নি এমন কাউকে পাওয়া কঠিন। আজ সহপাঠি তানভীর ভাইয়ের বাসায় দাওয়াত খেতে গিয়ে ভাবী এই জিনিস নিয়ে এলেন। ছবি তোলার সময়ই মনে হলো আজ রাতেই একটা পোস্ট দিতে হবে।

আমাদের ছোটবেলায় আব্বা পান খেতেন, সিগারেটও খেতেন। তার জন্য প্রায়ই কচি'র দোকান থেকে পান কিনে আনতে হতো। কচি দেখতে মোটেই কচি নয়, চকচকে এবং দুষ্টু দুষ্টু চেহারা। ফর্সা মুখে কালো গোঁফ আর পান খেয়ে লাল ঠোঁট। আমি তখন অনেক ছোট। ওয়ান বা টু-তে পড়ি। ১ টাকা দিয়ে চারটে পান পাওয়া যেতো। আব্বা দুপুরের খাওয়ার পরেই পান আনতে দিতো। খয়ের ছাড়া, শুকনা সুপারি, আর শাহজাদী জর্দা দিয়ে পান। মুখস্ত করা শব্দমালা গরগর করে কচির দোকানে গিয়ে বলতাম আর কচি পান বানিয়ে কাগজ দিয়ে কোণের মত করে মুড়ে একপাশে চুন আর সাথে যে কয়টা পান সে কয়টা পানের বোঁটা দিয়ে আরেকবার মুড়ে হাতে ধরিয়ে দিতো। পান আনার বিনিময়ে কখনো সখনো ২৫ পয়সা বা ৫০ পয়সা মিলতো।

আমরা তখন বগুড়ায়। দেশের বাড়ি থেকে জ্যাঠা এলেন। মুরুব্বীদের সাধারণত পান দিয়েই প্রথমে আপ্যায়ন করার রীতি। তাঁকেও যথারীতি পান দেয়া হলো। উনি আবার কাঁচা সুপারি ছাড়া খান না। কোথায় থেকে যেনো কাঁচা সুপারি এনে দেয়া হলো। পরিমাণে হয়তো বেশীই খেয়েছিলেন বলে পান খেয়ে মাথায় পাক ধরে বিছানায় পড়ে গিয়েছিলেন। পাখা দিয়ে বাতাস করে, মাথায় ভেজা গামছা দিয়ে মুছে ওনাকে স্বাভাবিক করা হয়েছিল বলে মনে পড়ে।

বড় হওয়ার পর আব্বার জন্য দোকানে গিয়ে আর পান আনতে হতোনা। সে কাজটা খালাতো ভাই-বোনদের করতে হতো। এর পর একসময় বাসাতেই বিরা বিরা পান কেনা শুরু হল। নিউ মার্কেট থেকে খুঁজে খুঁজে রাজশাহীর পান কেনা হতো। ঢাকায় শাহজাদী জর্দা পাওয়া যেতোনা। তার বদলে কেনা হতো ভারতীয় "বাবা" জর্দা। মারাত্মক তার ধক। শোনা যায় বাবা জর্দার কৌটা দিয়েই নাকি ককটেল বানানো হতো।

কলেজে উঠে পান খেয়েছি বলে মনে পড়েনা। মতিঝিলের আরামবাগে যে জায়গায় কলেজ ছিলো, সেখানে আদৌ কোনো পানের দোকান ছিল কীনা তাও জানিনা।

যতই বড় হতে থাকি, পানের সাথে সম্পর্ক দূরে সরতে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে উঠে মাঝে মাঝে বন্ধুদের সাথে রাতে হলে থাকা হতো। মধ্যরাতে নাজিমউদ্দিন রোডে রাতের খাওয়ার পরে পানের দোকান থেকে বেশ কয়েকবার মিষ্টি জর্দা দেয়া পান খেয়েছি। কিন্তু কেন যেন ছোটবেলায় বিয়ে বাড়ীতে খাওয়া পানের মতো স্বাদ পেতাম না। পানের সাথে নিজের সম্পর্ক দূরে সরতে থাকলেও বিশেষ পার্বণে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের রুমে রুমে দেখতাম অন্য এক পানের মহোৎসব।

পান নিয়ে কত কথাই বলা যায়। সিলেট অঞ্চলে নাকি এক ধরনের মিষ্টি পান পাওয়া য়ায়। সেখানে নাকি খাওয়ার পরে পান খাওয়াটা একটা নিয়মিত ব্যাপার।

জর্দা ছাড়া পানের উপকারিতার কথাও বেশ শোনা যায়। হজমে সহায়ক, মুখরোচক, আরো কত কী। প্রবাসে এসে পান পাওয়া যায় এমনটা জানতামই না। আব্বা-আম্মা যখন এখানে বেড়াতে এসেছিলেন, তখন পানের খোঁজে বের হলাম। আব্বা পান ছাড়া একদম চলতে পারেননা। অবস্থা এমন হলো ৪০০কিমি দূরে টরন্টো থেকে হলেও পান আনতে হবে। পরে স্থানীয় সিলেটি ভাইয়ের দোকানে খোঁজ নিয়ে জানলাম ওনারা ডেট্রয়েট থেকে এনে দিতে পারবেন। দাম একটু বেশী পরবে-- ১ ডলারে দুইটা! যাহোক, পাওয়া গিয়েছিল সেটাই বেশী। পরে অবশ্য ঘনঘন কিনতাম বলে দাম কমিয়েছিলেন। তখন ১ পাউন্ড পানের দাম দিতাম ১২-১৩ ডলার।

পানের কাহিনী আপাতত এখানেই শেষ। তবে সেদিন এক বন্ধুকে কুকুরে কামড়েছিল। প্রবাসে দৈবের বসে কুকুরে কামড়ানোর ঘটনা এবং পরবর্তী বিষয়াদি নিয়ে আরেকটা লেখা দেয়ার ইচ্ছা রাখলাম।

2 comments:

  1. ভালো লাগলো। শুধু এ কথাটিই বলতে চাই। প্রকৃতি বিষয়ক আপনার অন্য লেখাগুলোই কিন্তু অসাধারণ।

    aR
    Bangla Hacks

    ReplyDelete
  2. ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার পাখি বিষয়ক ব্লগ দেখলাম। মৌলিক কোন লেখা যদি থাকে তাহলে নিসর্গে (www.nature.com.bd) দিতে পারেন। আবারো ধন্যবাদ।

    ReplyDelete